ফয়সাল আজম অপু, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ঢাকা-৫ (ডেমরা-যাত্রবাড়ি) আসনের উপনির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পাবেন বলে আশা করছেন সফল শিল্প উদ্যোক্তা, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক, এশিয়ান গ্রুপ ও এশিয়ান টেলিভিশনের চেয়ারম্যান আলহাজ্জ্ব মোঃ হারুন-উর-রশীদ সিআইপি।
তিনি বলেন, সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার কারণে জনগণের সাথে তার সম্পর্ক হৃদয়ের। অসহায়, নির্যাতিত ও দুঃখী মানুষের কল্যাণে নিজের জীবন বিলিয়ে দেয়ার প্রত্যয়ে তাই তিনি লড়তে চান ঢাকা-৫ আসনের উপনির্বাচনে। সদ্য প্রয়াত সংসদ সদস্য হাবীবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুতে শূণ্য হওয়া আসনটিতে আলহাজ্জ্ব হারুন উর রশীদ হতে চান নৌকার মাঝি। কেন্দ্রের সবুজ সংকেত তিনিই পাবেন বলে আশা করছেন।
আলহাজ্জ্ব মোঃ হারুন উর রশীদ সিআইপি জানান, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন এবং একাত্তরের মহান মুক্তির লড়াইয়ে তিনি ছিলেন অগ্রভাগে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে লালন করে পথ চলেছেন অবিরাম; কখনো বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে পিছপা হননি। তাঁরই আদর্শে গণ মানুষের সেবায় এবার নিজেকে উৎসর্গ করতে চান বলে জানান আলহাজ্জ্ব হারুন উর রশীদ সিআইপি। তিনি আরও বলেন, দলের দুঃসময়েও কখনো নিজেকে পেছনে রাখেননি, সক্রিয় ছিলেন রাজনীতিতে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাও রয়েছেন আলহাজ্জ্ব হারুন উর রশীদ সিআইপির পাশে।
তারা জানান, নিজের শ্রম, মেধা, উদার মানবিকতা, বিচক্ষণ রাজনৈতিক চিন্তাশক্তি, তুখোড় দেশ প্রেম ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে সফল ব্যবসায়ী আলহাজ্জ্ব মোঃ হারুন উর রশীদ সিআইপি মিশে আছেন মাটি ও মানুষের মাঝে।
স্থানীয়রা বলেন, ১৯৭৪ সালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে স্থায়ী আবাস গড়া আলহাজ্জ্ব হারুন উর রশীদ সিআইপি সময়ের আবর্তে কখনো তাদের ভুলে যাননি। ওয়ার্ডে, গ্রামে, স্কুলে, মাদ্রাসায়, ঈদগাহে, বাড়ি বাড়ি তার পদচারনা রয়েছে। এছাড়া মিলাদ মাহফিল, জানাজা, সামাজিক অনুষ্ঠান, মসজিদ, মন্দিরেও তার সরব উপস্থিতি। এলাকার মানুষের বিপদে আপদে সব সময় তাকে পাশে পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রাও। তারা জানান, যখনই মানুষ দুঃখ-দুর্দশার মধ্যে পড়েছে, তখনই আলহাজ্জ্ব হারুন উর রশীদ সিআইপি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ১৯৮৮ সালের বন্যা থেকে শুরু করে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতেও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন পরম ভালোবাসায়। তাই এখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের আশা, এবার দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত এই নেতাদের এবার মূল্যায়ন করবে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।
শুধু এলাকার সাধারণ মানুষের পাশেই দাঁড়াননি, নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও অনেকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন আলহাজ্জ্ব হারুন উর রশীদ সিআইপি। সফল ব্যবসায়ী হিসেবে নিজের প্রতিষ্ঠিত করার পাশপাশি তিনি বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত হয়ে টানা ৬ মেয়াদে পারিচালকের দায়িত্ব পালন করেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ‘‘দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-এফবিসিসিআই’র। এফবিসিসিআই’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন তিনি। রপ্তানিতে বিশেষ অবদানের জন্যও সাফল্যের মুকুট পড়েছেন মাথায়, টানা ১৭ বার নির্বাচিত হয়েছেন সিআইপি। বস্ত্র রপ্তানী খাতে পুরস্কার পেয়েছেন ১৬ বার।
ঢাকা-৫ আসনের মানুষের জন্য নিবেদিতপ্রাণ এই মানুষটির আকাশছোঁয়া স্বপ্ন সাধারণ মানুষকে নিয়ে। বলা হয়, কেউ স্বার্থপর হয়ে সুখী, কেউ স্বার্থ বিলিয়ে সুখী। আলহাজ্জ্ব মোঃ হারুন-উর-রশীদ সিআইপি স্বার্থ বিলিয়ে সুখীদের দলের থাকতে চান সবসময়। সুযোগ পেলে সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যেতে চান আজীবন।