মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৩৫ জন মারা গেছেন। ফলে করোনায় মোট মারা গেলেন ৭৮১ জন। একই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৪২৩ জন। ফলে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৭ হাজার ৫৬৩ জনে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন।
বরাবরের মতোই করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান ডা. নাসিমা।
মার্চ থেকে দেশে শুরু হওয়া সাধারণ ছুটি শেষ হয় গেল শনিবার। রোববার (৩১ মে) থেকে শুরু হয় কর্মদিবস। সাধারণ ছুটি চলাকালীনই দেশে স্বাস্থ্যবিধি না মানার বিষয়টি বারবার আলোচনায় আসছিল। আর কর্মদিবস শুরুর পর থেকে সেই নির্দেশনা চরমভাবে লঙ্ঘনের বিষয়টি সামনে আসছে।
আর এই সময়ের মধ্যে করোনা শনাক্তও হচ্ছে আগের চাইতে তুলনামূলক বেশি মানুষের শরীরে। সাধারণ মানুষ যদি সরকারের নির্দেশনা অমান্য করেন তবে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলেও বারবার হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশেও আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলছে। সারা বিশ্বে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬৬ লাখ মানুষের শরীরে ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া এতে মারা গেছেন ৩ লাখ ৮৮ হাজারেরও বেশি মানুষ।
আশার কথা হচ্ছে, ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ৩১ লাখ ৮১ হাজার ১৮০ জন মানুষ সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন। প্রতিবেশী ভারতে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে ছয় সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
তবে তুলানামূলকভাবে বর্তমানে ভালো অবস্থানে রয়েছে চীন। ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল উহানে সম্প্রতি এক কোটির বেশি মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে এর মধ্যে মাত্র ৩০০ জনের শরীরে ভাইরাসটির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তাই উহানকে এখন অনেকটাই করোনামুক্ত বলছেন সেখানকার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।