করোনা উপসর্গ নিয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর একরামুল ইসলাম (৬জুন) সকালে মৃত্যুবরণ করেছেন। এই পুলিশ সদস্য সীতাকুণ্ড উত্তর বাজার ভূইয়া মজ্ঞিলের বাসায় একা থাকতেন। বেশ কয়েক দিন ধরে তিনি সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। সকালে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে স্ট্রোকে তার মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করছে সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নুর উদ্দিন রাশেদ, উল্লেখ্য বেশ কিছু দিন ধরে ওই পুলিশ সদস্য জ্বর ও সর্দি থাকায় করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ওই পুলিশ সদস্যের লাশ বর্তমানে সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ রয়েছে।
সীতাকুণ্ড উপজেলায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১২৩ জন সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ৫৩ জন। হোম আইসোলেশন এ থাকা ৪০ জনের মধ্যে সুস্থ হয়েছে ২০ জন। করোনাই আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৩ জন। করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে সর্বশেষ এই পুলিশ সদস্য সহ ৭ জন। করোনা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসা প্রায় ১০০০ মানুষ রয়েছে লগডাউনে। সর্বশেষ ৮ জন করোনা আক্রান্তের মধ্যে রয়েছে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি (ইন্টেলিজেন্ট)ও তার গাড়ির ড্রাইভার। এর আগে কুমিরা হাইওয়ে থানার তিন পুলিশ সদস্য করোনাই আক্রান্ত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায় জানান, সীতাকুণ্ড উপজেলাটি করোনা সংক্রামণের উচ্চ ঝুঁকির উপজেলার তালিকায় থাকলেও জনগণের মধ্যে কোন জনসচেতনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। বর্তমানে উপজেলার প্রতিটি দোকানপাট সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। নতুন করে সরকারি কোন নির্দেশনা পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
করোনার উচ্চ ঝুঁকির উপজেলায় তালিকায় সীতাকুণ্ড উপজেলায় থাকলেও জনগণের মধ্যে কোন জনসচেতনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না । প্রতিনিয়ত চলছে প্রত্যেকটা জায়গায় স্বাভাবিক কর্মকান্ড। সচেতন মহল মনে করছে জনগণের মধ্যে যদি জনসচেতনতা সৃষ্টি করা না যায় তাহলে কোন ভাবে এই মহামারি মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। এই ভাবে প্রশাননের কঠোর নজরদারি আশা করছেন বিশিষ্ট জনেরা।