আল আমিন,চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ ইপিজেড কলসী দিঘী এলাকায় চাকরীর প্রলোভনে মেয়েদের দেহ ব্যবসায় বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে হারুন নামের এক প্রতারকের বিরুদ্ধে। গত ৮ই জুন সকালে পিরোজপুরের ফারজানা আক্তার বিথী নামের এক ১৪ বছরের কিশোরী পতিতা সম্রাজ্ঞী সালমার ঘর থেকে পালিয়ে এসে ধুমপাড়া এলাকায় সংবাদকর্মী সহ পথচারীদের মাঝে অশ্রুসিক্ত নয়নে এ অভিযোগ তুলে ধরেন। সে এও বলতে থাকেন যে আমি সালমার ঘর থেকে পালিয়েএসেছি এটা যাদি পতিতা সম্রাজ্ঞী সালমা ও প্রতারক হারুন জানতে পারে তবে আমাকে জানে মেরে ফেলবে। যার লোমহর্ষক বিবরণের প্রমাণ থেকে যায় সাংবাদিকদের ক্যামেরায়।ফারজানা আক্তার বিথীর কথায় সে সহ আরো অনেক মেয়ে প্রতারক হারুনের ফাঁদে পড়ে সর্বশ্য হারিয়েছে তার প্রমাণ মেলে। পেটের তাড়নায় ক্ষুধা নিবারণে গোটা দেশের অসহায় হাজারও মানুষ যখন কর্মের খোজে অত্র এলাকায় অবস্থান। ঠিক তখনি তাদের অসহায়ত্বর সুযোগে
চাকরীর প্রলোভনে মিষ্টি কথায় ভুলিয়ে কলসী দিঘী আজিজিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন রেলবীটে অবস্থিত মোঃ ফারুক মিয়ার ১৬ রুমের কলোনী সালমা ৬০ হাজার টাকা মাসিক ভাড়ায় ভাড়া নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ চালানো পতিতা সম্রাজ্ঞী সালমার নিকট মোটা অংকের টাকায় বিক্রি করে দেয় প্রতারক হারুন সহ তার সাঙ্গোপাঙ্গোরা। আর নিমিষেই শেষে হয়ে যায় মেয়েটির আগামীর সমস্ত আশা আকাঙ্খা। সালমা টাকায় কেনা মেয়েদের ঘরে তালাবদ্ধকরে রেখে বিভিন্ন ভয়ভীতি
দেখিয়ে দেহ ব্যবসায় বাধ্যকরে। ফারজানা আক্তার বিথীর দেয়া তথ্য মোতাবেক সালমার ভাড়া নেয়া কলোনীতে ১৪ থেকে ১৮ বছরের ১০টি মেয়ে দ্বাড়া দেহ বানিজ্যের কাজে লিপ্তো রয়েছেন। দেশের প্রশাসন যেখানে কঠোর অবস্থানে সেখানে সালমার মতো পতিতা সম্রাজ্ঞী ও হারুনের মতো প্রতারক দালাল তারা কিভাবে প্রশাসনের নাকের ডগায় অবৈধ কর্মকান্ড চালাচ্ছে সেটা ভেবে ব্যকুল এলাকার জনসাধারণ। এ বিষয় ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জ মীর মো: নুরুল হুদা সাহেবের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমার নলেজে নাই, তবে আপনি যেহেতু বললেন, আমি
বিষয়টি দেখবো। পরে এ বিষয়ে প্রতারক হারুনের কাছে জানতে চাইলে হারুন সাংবাদিক দেখে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে এবং তারে সাথে প্রশাসনিক মহলের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার সার্বক্ষনিক যোগাযোগ আছে বলে হুমকি প্রদান করে। তার এ খুটির জোর কোথায় জানতে চায় এলাকাবাসী। এ বিষয় স্হানীয় ফোরকান মেম্বার ‘র নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান বিষয়টি আমার জানা নেই।তবে আমার এলাকায় এ ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালনা করতে দেয়া যাবে না।
এ বিষয় স্হানীয় ৩৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জনাব গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরীর নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান ফেসবুকে স্টাটাস দেখে আমি পুলিশকে জানিয়েছি। বিষয়টি আমার জানা ছিল না, তিনি আরো জানায়এ ধরনের কার্যকলাপ আমার ওয়ার্ডে চলতে দেয়া হবে না। বিস্তারিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে পরবর্তী নিউজ পেপারে।