নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাইক্ষ্যংছড়িতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি জবর করতে বাধা দেওয়ায় হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে জমির প্রকৃত মালিককে।ঘটনাটি ঘটেছে ১৮ জুন পৌনে ৩ টার দিকে সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ বিছামারা এলাকায়।
আহত জমির মালিকের পরিবার সুত্রে জানাগেছে, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের রফিক সিদ্দিকী চৌধুরীর পুত্রবধু দিলরুবা সোলতানার মালিকানাধীন ১ একর জমি রয়েছে দক্ষিণ বিছামারায়।উক্ত জায়গা দেখভাল (কেয়ারটেকার)করার জন্য সরল বিশ্বাসে দায়িত্ব দিয়েছিলেন একই এলাকার ফরত আলীর ছেলে শামশুল আলম মিস্ত্রীকে।দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে দিলরুবা সোলতানার উক্ত জায়গা দেখভালের সুযোগে লোলুপ দৃষ্টি পড়ে খোদ শামসুল আলম মিস্ত্রীর।সে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে দিলরুবা সোলতানার উক্ত জায়গা জবর দখল করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে জানতে পেরে একাধিকবার বারণ করে ব্যর্থ হয়ে বান্দরবান কোর্টে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করে দিলরুবা সোলতানার পরিবার।আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৮ জুন বিকেল পৌনে ৩ টার দিকে দিলরুবা সোলতানার পরিবারের লোকজনের অনুপস্থিতির সুযোগে প্রবল বৃষ্টিতে কেয়ারটেকার শামসুল আলম মিস্ত্রীর নেতৃত্বে উক্ত জায়গা জবর দখলে নিচ্ছে মর্মে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান দিলরুবা সোলতানার সরকারী চাকরীজিবী স্বামী,নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের রফিক সিদ্দিকী চৌধুরীর ছেলে নসরুল্লাহ খান সোহাগ।সে ঘটনাস্থলে গিয়ে জায়গা দখলকারীদের বাধা দিলে, দখলকারী শামসুল আলম মিস্ত্রী,ছেলে লেংড়া সিরাজ,সিরাজের স্ত্রী,এনাম ও মাহবুবের নেতৃত্বে অতর্কিত হামলা করে। হামলাকারীদের নির্দয়া প্রহারে নসরুল্লাহ খান সোহাগ(৩৭) রক্তাক্ত জখম হয়।তাকে মেরে শরীরের বিভিন্ন অংশে নীলাফোলা জখম করে মাটিতে লুটিয়ে ফেলে হামলাকারীরা।
গুরুতর জখমাবস্থায় প্রত্যেক্ষদর্শীরা সোহাগ কে উদ্ধার করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,থানার ওসিকে অবগত করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।চিকিৎসাধীন সোহাগের অবস্থার অবনতি হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে তাকে।এঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে আহতের পরিবার সুত্র জানায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেছেন,আহতের চিকিৎসা নিতে বলেছি।পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন।