যশোরের শার্শা উপজেলার বেনেখড়ি গ্রামের হত দরিদ্র কৃষক সাইফুলের দালিলিক সম্পত্তির দখল ফিরে না পেতে সচেষ্ট হয়েছে এলাকার প্রভাবশালী একটি মহল।দীর্ঘ ১১ বছর দালিলিক সম্পত্তির দখল তার শ্যালকদের কাছ হতে বুঝে না পেয়ে গ্রাম্য সালিশ সহ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে বিচার শালীসে ব্যার্থ হন।শেষ মেষ সম্পত্তি ফিরে পাওয়ার আশায় তিনি গনমাধ্যম কর্মীদের সহোযোগীতায় সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।সাইফুল গত ০২-০৬-২০২০ইং তারিখে শার্শা সহকারী কমিশনার (ভূমি)এর কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বেদখল জমি ফিরে পেতে অভিযোগ দ্বায়ের করেন।অভিযোগের ভিত্তিতে বিবাদী কে ১৭ তারিখ শোনানীর জন্য নোটিশ জারি করা হয় বলে অফিস সুত্র নিশ্চিত করেন।এ বিষয়ে শার্শা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জনাব,খোরশেদ আলম চৌধুরী জানান,ধার্য্য কৃত দিন বিবাদী সাহেব আলী উপস্থিত হয়ে স্বাক্ষী গন সকলে উপস্থিত নাই বলে ১ মাস সময় আবেদন করেন।তাহাকে ১ সপ্তাহ সময় মঞ্জুর করে আগামী ২৩তারিখ পুনরায় শোনানীর দিন ধার্য্য করা হয়েছে।প্রাথমিক ভাবে বাদীর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।অভিযোগ দ্বায়েরের ঘটনায় সাহেব গং ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকার প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ মাধ্যম জমির দখল ফেরত না দেওয়ার জন্য তদবির মিশনে নেমেছেন। প্রকাশ থাকে যে,সাইফুলের মৃত স্ত্রী রত্না খাতুন(১ম) তার পিত্রালয়ের পৈত্রিক সম্পত্তি জীবদ্দশায় হেবা দলিল মূলে ৪৫ শতাংশ জমি স্বামী সাইফুলের নামে লিখে দেন।দাম্পত্য জীবনে শ্রাবন্তী নামের এক কন্য সন্তানের মা ছিলেন রত্না।স্বামী সংসারে অসুস্থ জনীত কারনে রত্না খাতুন মৃত্যু বরন করলে কৃষক সাইফুলের জীবনে নেমে আসে দূর্দশা। শশুরারয় সম্পত্তি হতে বিতাড়িত হয়ে কন্যা শ্রাবন্তীর আশ্রয় হয় ফুফার গৃহে।সংসারিক জীবনে সাইফুল দ্বিতীয় স্ত্রী ও দুই পুত্র সহ বেনেখড়ি গ্রামের মতিয়ার রহমানের আশ্রিত জায়গায় ছাবড়া তুলে বাস করছেন।সাম্প্রতী আম্পান ঝড়ে তার ঘর ভেঙ্গে গেলে জমি মালিক জাগা ছেড়ে চলে যেতে বলেন।দীর্ঘ ১১বছর দালিলিক সম্পত্তির দখল না পাওয়ায় কৃষক সাইফুল পরিবার বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।অন্যদিকে রয়েছে প্রভাবশালী সাহেব গংদের অভিযোগ করার প্রেক্ষ্যিতে হুমকী-ধামকী।