নার্গিস আক্তার স্মৃতি, -প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ দিয়েছেন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার আর তাই এই বক্তব্য কে কেন্দ্র করে নৌ পথে আধুনিক আভিজাত্যপূর্ণ একটি লঞ্চ উপহার দিয়েছেন দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষদের কে মেসার্স সালাম শিপিং লাইনের এম ভি মানামি লঞ্চ, এই লঞ্চটি বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে যাত্রী সাধারনের সুখে শান্তিতে যাতায়াতের কথা চিন্তা করেই নৌপথে আগমন। বাংলাদেশে এর আগে এতো সুন্দর এত আধুনিক ঢাকা বরিশালে আর একটি লঞ্চও নেই।
লঞ্চটিতে রয়েছে ১৪৭টি সিঙ্গেল ও ডাবল এসি/ নন এসি কেবিন, ৪টি ভি আই পি কেবিন, ৩টি সেমি ভি আই পি কেবিন,৩টি ডিলাক্স কেবিন,২০টি সোফা জোন,৬৯৪টি সাধারণ যাত্রীদের জন্য ডেক আসন, এছরাও ভি আই পি কেবিন এর যাত্রীদের জন্য একটি ভি আই পি ডাইনিং জোন, ডেক যাত্রীদের জন্য একটি সাধারন হোটেল,১টি সেনাক্স এর দোকান, ১টি পান সিগারেট এর দোকান।
আধুনিকতার ছোয়া রয়েছে লঞ্চের প্রতিটি স্তরে দেখা যায় হাত মুখ দোয়ার জন্য রয়েছে সেন্সর বিশিষ্ঠ পানির কল,যার নিচে হাত রাখলেই পানি পরতে থাকে কোন কিছু স্পর্শ ছারা এবং সেন্সর বিশিষ্ট হ্যান্ড ড্রায়ার,আরও রয়েছে চার স্তর বিশিষ্ট পানি বিশুদ্ধ করন পদ্ধতি শুধু তাই নয় মাত্র অল্প কিছু যাত্রী লঞ্চে যাতায়াত করলে ৫০০০ লিটার বিশুদ্ধ পানি ধরে রাখার ব্যাবস্থা।যাত্রী সাধারনের সেবায় নিয়োজিত থাকে ৭০জন কর্মচারী ৪জন কর্মকর্তা ।
কর্মকর্তারা হলেন ফাইজুল আলম ডিরেক্টর কোয়ালিটি,জিয়াউল হক দিপু ডাইরেক্টর এন্ড এডমিন, সি ই ও মোঃ ফিরোজ আলম, ও ডি আহম্মেদ জ্যাকি তাদের সাথে কথা বলে জানাযায় ঢাকা থেকে বরিশাল যেতে এই লঞ্চটিতে সময় নেয় পাঁচ থেকে সারে পাঁচ ঘন্ট। ঢাকা বরিশাল রুটে সব চেয়ে দ্রুত গতির এই জাহাজটি অল্পদিনেই যাত্রীদের প্রিয় হয়ে গেছে।তারা বলেন বারতি নতুনত্ব নিয়ে আরও একটি লঞ্চ উপহার দিবেন মেসার্স সালাম শিপিং লাইনস,এম ভি মানামি লঞ্চ নামের সাথে যুক্ত হতে পারে কোন সংখ্যা অথবা অন্য কিছু,তবে সেটা হবে আধুনিকতার শীর্ষে থাকবে সবার আলোচনায় এমন চিন্তা ভাবনা নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে সেই লঞ্চটি।
করোনা মহামারীতেও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য বিশেষ ব্যাবস্থা নেয় তারা,প্রবেশ মুখে স্থাপন করা হয়েছে জীবাণু নাশক টানেল এবং হ্যান্ড সেনিটাজার এবং প্রত্যকেই মাস্ক পরার জন্য অনুরোধ করেন, কিছু যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানাযায় তারা এই লঞ্চের ষ্টাফদের আচরন তাদেরকে মুকদ্বো করেছে, কেননা সব যাত্রীদেরকেই স্যার বলে সম্মদন করে থাকে এই লঞ্চ এর প্রতিটি স্টাফ,তারা বলেন এই লঞ্চ ভ্রমণ করতে পেরে তারা সুখী, লঞ্চ কতৃপক্ষ কে তাদের মন দোয়া করেন,মহান আল্লাহ যেন তাদেরকে সকল বিপদ আপদ থেকে হেফাজতে রাখেন।