মীর জুবায়ের হবিগঞ্জ জেলা চুনারুঘাট উপজেলা গাজীপুর ইউনিয়নের পুলিশের খাঁচায় আটক হয়েছে স্বামীর লিঙ্গ কর্তনকারী পাষন্ড স্ত্রী দিলারা খাতুন (৩৫)। চুনারুঘাট থানার ওসি (তদন্ত) চম্পক দাম’এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ শুক্রবার ভোর রাতে মৌলভীবাজার জেলার শাহবাজপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে কথিত পীরের হেফাজত থেকে তাকে গ্রেফতার করে। ঘটনাটি ঘটেছে, চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের পাহাড়ী গ্রাম আলীনগরে।
জানা যায়, গত ১০ বছর আগে একই উপজেলার আলীনগর গ্রামের ছিদ্দিক আলীর কন্যা দিলারা খাতুনের সাথে পারিবারিক ভাবেই বিয়ে হয় সৌদি প্রবাসী ইছাক মিয়ার। বিয়ের পর সুন্দরী স্ত্রী দিলারার চলা-ফেরা ছিল উগ্র। স্বামী প্রবাসে থাকার সুবাদে পর পুরুষের সাথে গড়ে তোলে পরকিয়ার সম্পর্ক। এ নিয়ে প্রবাসী ইছাক মিয়া ও দিলারার পরিবারে চলে বিবাদ। ভাল-মন্দে দীর্ঘ ১০ বছরের সংসার জিবনে দুইটি সন্তানেরও জন্ম হয়। সম্প্রতি ইছাক মিয়ার দেশে ফেরার পর কিছু দিন ধরে তাদের মধ্যে বিভিন্ন পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে বনি-বনা হওয়ায় সকলের সম্মতি ক্রমেই প্রদিবেশী বেলী আক্তারের সাথে আবারও বিয়ের পীড়িতে বসেন ২ সন্তানের জনক ইছাক মিয়া। স্বামীর ২য় বিবাহ স্বাভাবিক ভাবে না নিতে পেরেই প্রাচীন কিচ্ছা-কাহীনির মইত তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে দিলারা বেগম। নানান পারিবারিক বিয়ষাদি নিয়ে প্রায়ই লিপ্ত হতেন ঝগড়া-বিবাদে। এদিকে, স্বামীকে সত্বীনের কাছ থেকে আলাদা করতে দ্বারস্থ হন মৌলভীবাজার জেলার শাহবাজপুর গ্রামের এক ভন্ড কথিত পীরের। সেই পীরের নির্দেশনা অনুযায়ী তন্ত্র-মন্ত করেও কোন ফায়দা না হওয়ায় অবশেষে গত ১৪ জুন রাতে পিঠার সাথে ঔষধ মিশিয়ে অচেতন করে ধারালো বেøড দিয়ে স্বামী ইছাক মিয়ার লিঙ্গ কর্তন করে বোতলে ভরে আত্মগোপন করে। এ সময় স্বামী ইছাক মিয়ার শোর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে কাটা লিঙ্গ উদ্ধার করে ইছাক মিয়া প্রথমে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও পরে সিলেট এমজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তি করান। এ ঘটনায় ইছাক মিয়ার ২য় স্ত্রী বেলী বেগম বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে।
এদিকে আহত ইছাক মিয়ার ২য় স্ত্রী ও মামলার বাদী বেলী বেগম জানান, পর পুরুষের সাথে দিলারা বেগমের পরকিয়ার সম্পর্কটি আঁচ করতে পেরে আমার স্বামী (আহত ইছাক মিয়া) তাকে সতর্ক করেন। এতে সে উত্তেজিত হয়ে তার লিঙ্গ কর্তন করে। বর্তমানে তিনি সিলেট এমজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জীবন-মরণের সাথে প্রতিনিয়তই পাঞ্জা লড়ছেন। চুনারুঘাট থানার ওসি তদন্ত চম্পক দাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ইছাক মিয়ার ২য় স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়ের হওয়ার পর অভিযান চালিয়ে দিলারা খাতুনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।