আব্দুল্লাহ আল মামুন ভূঁইয়া,কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে রাবেয়া আক্তার(২০) নামে এক তরুণীকে গণধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।তিনি উপজেলার মাদ্রা গ্রামের পূর্বপাড়ার আলী মিয়ার মেয়ে।
গত রোববার(২৮ জুন) নিজ ঘরেই গণধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে।সোমবার সকালে নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মক’র্তা(ওসি) মোঃবখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান,পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে।তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে হত্যার বিস্তারিত জানা যাবে।
স্থানীয় সূত্র জানায়,রোববার সকালে রাবেয়া আক্তারকে তার মা জাহানারা বেগম ঘরে রেখে পাশের মাদ্রা বাজার যান।এর কিছুক্ষণ পরে মোরটসাইকেলযোগে তিনজন লোক তাদের বাড়িতে আসে।এ সময় বাড়ির অন্যরা মনে করেছিল ওই তিনজন ব্যাংকের লোক।এরপর দুপুরের দিকে ওই তরুণীর মা বাড়িতে এসে ঘরের ভেতর মেয়ের মরদেহ দেখতে পান।ধারণা করা হচ্ছে,ওই তিনজন গণধর্ষণ শেষে রাবেয়াকে হত্যা করে পালিয়েছে।খবর পেয়ে এদিন বিকেলের দিকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।বছর দুয়েক আগে কুমিল্লার এক প্রবাসীর সাথে রাবেয়ার বিয়ে হয় বলে তারা জানান।
রাবেয়া আক্তারের মা জাহানারা বেগম বলেন,আমি বাজার থেকে বাড়িতে এসে ঘরে গিয়ে দেখি আমার মেয়ের দেহ মাটিতে পড়ে আছে।দেখেই বুঝা যাচ্ছে খুনের আগে আমার মেয়েকে পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে।আমি খুনিদের ফাঁসি চাই।তিনি আরও বলেন,আমার মেয়ের সঙ্গে একই গ্রামের দুজনের বিরোধ ছিল।ওই দুইজন সম্পর্কে আপন ভাই।তারা বিভিন্ন সময় তার মেয়েকে হত্যার হুমকিও দিয়েছে।যা নিয়ে এলাকায় সালিশও হয়।এর জেরে তাকে হত্যা করা হতে পারে।