মীর জুবায়ের আলম,হবিগঞ্জ প্রতিনিধি।।
চুনারুঘাট উপজেলার দেওরগাছ ইউনিয়নের চান্দপুর বস্তীতে চোরাচালান বন্ধ করুন দেশীয় শিল্প রক্ষা করুন
এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বিজিবি ৫৫ ব্যাটালিয়ানের নেতৃত্বে ট্রাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ অভিযানে বিজিবি ৫৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল সামীউন্নবী চৌধুরীর নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন, চুনারুঘাট উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মিল্টন পাল, বিজিবি ৫৫ ব্যাটেলিয়ানের সহকারী পরিচালক নাসির উদ্দিন চৌধুরী,চুনারুঘাট থানার এএসআই ছাদেকুর রহমান ।
২৯ জুন সোমবার দুপুর থেকে রাত১০ টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালিত হয় । চুনারুঘাট উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ ও বিজিবি’র সমন্বয়ে গঠিত এ ট্রাস্কফোর্সটি ওই বস্তীতে অভিযান চালিয়ে ৫ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গুদাম তল্লাশি করে আনুমানিক ১১ হাজার কেজি চা পাতা উদ্ধার করে জব্দ করে। প্রত্যেক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ট্রাস্কফোর্সের অভিযানকালে ওই বস্তির নাইম টেডার্সের গুদাম থেকে আনুমানিক ১০৪ বস্তায় ৬ হাজার কেজি, ফজল টি ট্রেডার্সের গুদাম থেকে ৮৩ বস্তায় সাড়ে ৪ হাজার কেজি,রাসেল টি হাউজের গুদাম থেকে ১৫শ কেজি ও রহমান টি হাউজের গুদাম থেকে ২শ কেজি চা পাতা জব্দ করে বিজিবির তত্বাবধানে নিয়ে যান।
ঘটনাস্থলে বস্তীর মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র লিটন ও মানিক নামের দুজনকে আটকও করা হয় । জব্দকৃত চা পাতাগুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য ৩৩ লক্ষ টাকা। ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোর মালিক পক্ষ জানান, তারা প্রত্যেকেই ৪০ থেকে ৫০ বছর ধরে সম্পূর্ণ বৈধভাবে তাদের চা পাতার ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। তারা তাদের কাগজ পত্র ট্রাস্কফোর্সকে দেখিয়েছেন । ট্রাস্কফোর্স এগুলোকে বৈধ মনে করেন নি।তাদের দাবী জব্দকৃত মালামালগুলোর সঠিক সীজার লিষ্ট আদালতে দাখিল করলে তারা তাদের মালামালের বৈধতা প্রমান করে আদালত থেকে নিয়ে আসবেন।
বিষয়ে বিজিবি ৫৫ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক নাসির উদ্দিন চৌধুরী ও চুনারুঘাট থানার ওসি শেখ নাজমুল হক বলেন , ৫ টি গুদাম থেকে চা-পাতা গুলো জব্দ করা হয়েছে। যারা এগুলো গুদামজাত করেছে তারা কোনো বৈধ কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি যেকারণে মালামাল গুলো জব্দ করা হয়েছে।
চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সত্যজিৎ রায় দাশ বলেন,
এ ব্যাপারে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হবে। উপজেলার সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান রোধে
টাস্কফোর্সের এই অভিযান নিয়মিত পরিচালিত হবে।
। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জব্দকৃত মালামালের আইনি পক্রিয়া চলছিল।