মহিদুল ইসলাম শাহীন,খুলনা প্রতিনিধি:
জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলায় কৃষক ঠকানো এক নকল বীজ কারখানার সন্ধান মিলেছে। কিছু হলুদ সাংবাদিকদের ম্যানেজ এবং কৃষি অফিসে কিছু অসাধু লোকদের ম্যানেজ করে খোদ উপজেলার নাকের ডগায় এভাবেই কৃষক ঠকানো ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলো দির্ঘদিন ধরে জনৈক বিরেন নামের ঐ ডিলার। মঙ্গলবার বেলা ১টার সময় সরকারী সীল সম্বলিত (ইঅউঈ) প্যাকেটে নিম্ন মানের লোকাল ধান প্যাকেটজাত করার দায়ে সোনালী কৃষি ভান্ডারকে সীলগালা করেছে উপজেলা প্রশাসন। জানাগেছে, সোনালী কৃষি ভান্ডারের সত্ত্বাধীকারি বীরেন শীল দীর্ঘদিন ধরে নিম্নামানের ধানের বীজ, সার, মাছের খাবার, কৃষি পণ্য সরকারী সীল সম্বলিত প্যাকেটের মাধ্যমে অধিক মুনাফা লাভের আশায় কৃষক ও খামারীদের কাছে বিক্রয় করে অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকা উপার্যন করে আসছিলো।সরকারী সীল সম্বলিত প্যাকেটে নিম্ন মানের লোকাল ধান প্যাকেটজাত করার সংবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কৃষি কর্মকর্তাকে জানালে। মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট মোঃ নজরুল ইসলামের নির্দেশে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট মোঃ রাশেদুজ্জামান ও কৃষি কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে এক অভিযান চালিয়ে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে সোনালী কৃষি ভান্ডার সীলগালা করেন। এ ব্যপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, সোনালী কৃষি ভান্ডারের ডিলারশীপ বাতিলের জন্য জেলা প্রশাসক নিকট প্রেরন করা হয়েছে এবং সত্ত্বাধীকারি বীরেন শীলকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট মোঃ রাশেদুজ্জামান বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সত্ত্বাধীকারি বীরেন শীল উপস্থিত না থাকায় সোনালী কৃষি ভান্ডার সীলগালা করা হয়েছে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নজরুল ইসলাম বলেন, যদি কোন ব্যক্তি নকল সার বা নকল বীজ বিক্রি করে তাহলে তাকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জেল জরিমানা করার বিধান রয়েছে। যেহেতু ঐ ব্যাক্তিকে খুজে পাওয়া যাইনি তাই সোনালী কৃষি ভান্ডার সীল গলা করা হয়েছে।