জুলফিকার আলী,কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়ার চন্দনপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মাঝেরপাড়া গ্রামের তাইজুল ইসলামের বাড়ীর সামনে থেকে হান্নানের বাড়ীর মোড় পর্যন্ত আধা কিলোমিটার ইটের সোলিং রাস্তা স্থানীয় মিতা বিক্স(ইট ভাটার)মাটি টানা ট্রাক্টারের কারনে নষ্ট হয়ে গেছে বলে স্থানীরা দাবী করেছে। শনিবার (৪জুলাই) বেলা ১টার দিকে খোজ নিয়ে দেখা গেছে, চন্দনপুরের মিতা বিক্স এর মাটি টানা ট্রাক্টরে করে ৩নং ওয়ার্ডের ফজলু, বাইজিত, সিরাজ এর পুকুর থেকে ৮/৯টি বড় বড় ট্রাক্টরে করে ইউনিয়ন পরিষদের ইটের সোলিং রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন মাটি ইটভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এতে করে পুরা রাস্তার ইট উঠে বড় বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। এছাড়া ওই মিতা বিক্স ইট ভাটাটি চন্দনপুর এলজিইডি সরকারী রাস্তার পাশে হওয়ায় প্রতিনিয়ত ট্রাক্টর দিয়ে মাটি আনা নেয়া করায় প্রায় ২/৩ কিলোমিটার রাস্তায় কাদা জমে রয়েছে। এতে করে ওই রাস্তায় ছোট খাটো দুর্ঘটনাও প্রতিনিয়ত ঘটছে। বর্তমানে রাস্তাটিতে কাদা জমে রয়েছে। সেই সাথে কোন ট্রাক ও পিকাআপ ওই রাস্তা দিয়ে গেলে ধুলা উড়ে জামা কাপড় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে করে রাস্তায় যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন জনসাধারণ।
এবিষয়ে ওই ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম জানান-প্রথম দিন থেকে ইটভাটা মালিক মিনহাজ উদ্দীন ও পুকুর মালিক ফজলু, বাইজিত, সিরাজ কে রাস্তায় ট্রাক্ট দিয়ে কাদা মাটি না নেওয়ার জন্য বলা হয়। কিন্তু তারা নিষেধ অমান্য করে ওই রাস্তায় ট্রাক্টর দিয়ে মাটি নিয়ে যায়। পরে রাস্তার ইট উঠে বড় বড় গর্তে সৃষ্টি হলে স্থানীয়রা ইউপি সদস্যকে ডেকে নিয়ে আসেন। এসময় আবারও তাদের নিষেধ করলে ইটভাটা মালিক মিনহাজ উদ্দীন ও পুকুর মালিক ফজলু, বাইজিত, সিরাজ বলেন নষ্ট হওয়া রাস্তা ঠিক করে দেবেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা রাস্তা ঠিক করেনি। এদিকে এলাকাবাসীরা বলেছেন-ওই ৩নং ওয়ার্ডের আধা কিলোমিটার রাস্তায় ইট বিছিয়ে ঠিক করতে হলে প্রায় ৫০লাখ টাকার মতো খরচ হতে পারে। এবিষয়ে মিতা বিক্স এর মালিক মিনহাজ উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন-আমি কিছুই জানি না। আমার সাথে কারর কোন কথা হয়নি। তার ভাটায় মাটি কিনছেন ৪শত টাকা ট্রলি প্রতি। ওই এলাকার আশরাফুল ও কোরবান আলী ৩নং ওয়ার্ডের রাস্তায় ৮/৯টি বড় বড় ট্রাক্টরে হুটোপাটা করে মাটি নিয়ে আসায় রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তিনি জানান। এদিকে ওই রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার না করা হলে এলাকাবাসী ইটভাটা মালিক ও পুকুর মালিকদের বিরুদ্ধে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে গণদরখাস্ত দিবেন বলে জানিয়েছেন।