নিজস্ব প্রতিনিধি:
আশাশুনিতে সরকারি রাস্তা নষ্ট করে মাটি কেটে ও কাঠ পুড়িয়ে সম্পূর্ণ অনিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটিয়ে দেদারছে চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ ইটের ভাটা, দুষিত হচ্ছে পরিবেশ। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের মধ্যম চাপড়া ভাঙ্গন কবলিত এলাকার নদীর চরে অবৈধ এবিডি ব্রিকস এর মালিক ইউপি সদস্য খোকন সরদার। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, এবিডি ব্রিকস এর আনুমানিক দুই থেকে তিন শত ফুটের মধ্যে চাপড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ চাপড়া মহিলা হাফিজিয়া মাদ্রাসা, দক্ষিণ চাপড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দুইটি জামে মসজিদ রয়েছে। মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়া মুসল্লিদের হচ্ছে শ্বাসকষ্ট এবং কাঠ পোড়ানো কালো ধোঁয়ার কারনে ক্ষতি হচ্ছে কোমলমতি স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ। লোকালের ভিতর ইটের ভাটা হওয়ার কারণে ছেলে মেয়ে ও বৃদ্ধরা প্রতিনিয়ত শ্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এ ব্যাপারে ইটভাটার এক শ্রমিক প্রতিবেদককে জানান, গত বছর একবার চিমনি ভেঙ্গে পড়েছিল যেমন তেমন ভাবে ঠিক করেছিল। এ বছরও ভাটার চিমনি জোড়াতালি দিয়ে কোন রকমের দায়সারা সংস্কার না করে উৎপাদন চালিয়ে যাচ্ছে যার ফলে চিমনি হেলে পড়েছে এবং যেকোনো মুহূর্তে ভেঙ্গে পড়তে পারে। ভাটার কাজে ব্যবহারের জন্য রাস্তা ঘেসে ১৫ থেকে ২০ ফুট ডিপ করে মাটি কাটায় রাস্তা ভেঙ্গে যাচ্ছে। ইটের ভাটার জন্য রাস্তা কেটে পাইপ ঢুকিয়েে পানি সরানোর কারণে গত বছর আম্পানে ওই পাইপের ছিদ্র হয়ে রাস্তা ভেঙ্গে পানি ভিতরে প্রবেশ করে সাথে সাথে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় উক্ত বাদ বহু কষ্টে মেরামত করা হয়েছিল। ওয়াপদার কোনরকম অনুমতি না নিয়ে এবারও সেখানে রাস্তা কেটে পাইপ বসিয়ে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করেছে। ওয়াপদার জায়গা ভাটার কাজের জন্য কাদামাটি সংরক্ষণের কারণে পল্লী বিদ্যুতের খাম্বা হেলে পড়েছে যে কোন মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয়দের একটাই প্রশ্ন এভাবে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটিয়ে সরকারি জায়গা দখল করে মাটি কেটে রাস্তার ক্ষতিসাধন করে ইটভাটা আর কতদিন চলবে। এলাকার মানুষের জানমাল ও পরিবেশ রক্ষায় জরুরী ভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন চাপড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ চাপড়া মহিলা হাফিজিয়া মাদ্রাসা, দক্ষিণ চাপড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ দুইটি জামে মসজিদ মুসল্লীবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ ও এলাকার সচেতন নাগরিক।