নিজস্ব সংবাদদাতা :
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডস্হ বাইশঁপাড়ী পূর্ব পাহাড়ে প্রায় ২৮ একরের বেশি মালিকানা আম বাগান, কলা বাগান, এবং ছন বাগান শত্রুর আগুনের স্ফুলিঙ্গে ভস্মসাৎ।
১৩ মার্চ শনিবার ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজের সৃজিত ২৫ একরের মকুল ভরা আম রুপালি ও কলাবাগান এবং আনোয়ার ইসলাম পিতা- মৃত আবুল কালামেরর ২ একরের ছন বাগান, মোহাম্মদ আলীআহমদ পিতা – মৃত নুর আলীর ১ একর ছন বাগান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ পুর্বশত্রুতার জের ধরে ২৮ একরের বাগান আগুন লাগিয়ে ছাই করে দিয়েছে বলে দাবী স্হানীয় ভস্মসাৎ বাগানের মালিকদের।
স্থানীয়রা বলেন, চেয়ারম্যানকে কোন ক্ষতি করতে না পারায় ক্ষোভে তাঁর বাগানে এ আগুন দেওয়া হয়।মাঝে মাঝে মধ্যে কিছু অচেনা মানুষ প্রতিদিন বাইশঁপাড়ীর পূর্বপাহাড়ের বাগানের মধ্যে আনাগোনা করতে দেখি আমরা । এ ধরনের গর্হিত কাজ যারা করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।
আগুনের স্ফুলিঙ্গ ভস্মসাৎ হওয়া বাগানের মালিক একে এম জাহাঙ্গীর আজিজের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কিছু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, মন্ত্রী বীর বাহাদুর ঘুমধুমে ইউনিয়নের শুভাগমন উপলক্ষে ব্যস্ততার সুযোগে আমার সৃজিত মকুল ভরা আম্রপালি ও কলাবাগানে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে । তিনি আরো বলেন, মন্ত্রীর অনুষ্ঠানে সবাই যার যার মত ব্যস্ততার দরুণ বাগানে আগুন দেওয়াতে কেউ জানতে পারে নাই। পরের দিন বাগানের পাহারাদার নুরু হক পাহাড়ে গিয়ে আগুন দেখা মাত্র আমাকে মোবাইলে অবগত করেন। তিনি বলেন, প্রায় ৮ বছর ধরে ২৫ একর জমিতে আম রুপালি গাছের বাগান তৈরি করেছেন। প্রতি বছর বাগান থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকার মতো আম বিক্রি করে থাকি। গত ১৩ মার্চ শনিবার দিনে দুর্বৃত্তরা তার বাগানটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোক আগুনে ভস্মসাৎ বাগানের মালিকের। তিনি মামলার প্রক্রিয়া চলমান বলে জানান।
ক্ষতিগ্রস্ত ছন বাগানের মালিক আনোয়ার ইসলাম পিতা- মৃত আবুল কালামেরর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একে এম জাহাঙ্গীর আজিজের সাথে শত্রুরা ফায়দা হাসিল করতে গিয়ে আমার মত খেটে খাওয়া দিন মজুরের জন্য সর্বনাশের কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার ২ একর ছন বাগান থেকে প্রতিবছর ৬০/৭০ হাজার টাকা পাই। তাই অনেকের কাছ থেকে ছন দেব বলে অগ্রিম ৪৫ হাজার টাকা নিয়েছি বিধায় চিন্তায়, আযহারিতে, আত্মহারায়, মানবেতর জীবন কাটাচ্ছি।
জানা যায়, নুরুল হক খবর পেয়ে ১৪ মার্চ রবিবার বাইশঁপাড়ীর স্থানীয় কৃষকদের নিয়ে জ্বলতে থাকা বাগানটি নিভানোর উদ্দেশ্যে ছুটে যায় কাঁদে করে পানি ছিটানোর মিশিন নিয়ে, কিন্তু শেষ রক্ষা পেল না , আম রুপালি কলাবাগান সহ হতদরিদ্রদের কষ্টের ফলানো ছন বাগান।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আলমগীর হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি আগুন দেওয়ার বিষয়টা চেয়ারম্যানের কাছ থেকে শুনেছি। এখনো কেও মামলা করেনি। যদি মামলা হয় তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অপরাধী যে হউক অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।
বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তর কর্মকর্তা আব্দুছালামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, চেয়ারম্যানের বাগান পুড়ার বিষয়টা(! শুনেছি। বাগানে এবং বনে আগুন দেওয়ার ঘটনার বিষয়টা দেখভাল করবেন বন বিভাগ। আমরা পাহাড় কাটার বিষয় হলে আমাদের দেখতে হবে। যেহেতু বাগানে আগুন দেওয়া বিষয়টি বন বিভাগ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।