জসিম উদ্দিন, বিশেষ প্রতিনিধি : পাবেন ঘর, পাবেন বয়স্ক ভাতা ও সরকারি সকল সুবিধা। স্বপ্নপূরণে আরো একধাপ এগিয়ে গেলেন শতবছর বয়স পার করা সেই ডিম বিক্রেতা মোনছোপ আলি এবং বোন নবীসন খাতুনের।
যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের বকুলিয়া গ্রামের
মৃত আব্দুল হামিদের সন্তান তারা।
যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক যশোর পত্রিকাতে মোনছোপ আলি এবং বোন নবীসন খাতুনের পরপর দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ায় ভাগ্য খুলে যায় তাদের।
দুই ভাই বোনের শেষ বয়সে কিছুটা ভাগ্য বদলাতে জরুরি পদক্ষেপ নিয়েছেন ঝিকরগাছা উপজেলার সুযোগ্য নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব আরাফাত রহমান।
মঙ্গলবার সকালে নিজের কার্যালয়ে দুই ভাই বোনকে ডাকিয়ে এনে একান্তে আলাপ করেন তিনি। সাথে ডেকে নেন উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা অহিদুজ্জামান এবং শার্শার উদ্ভাবক মিজানকে।
সমাজ সেবায় স্বীকৃতি প্রাপ্ত উদ্ভাবক মিজানের মাধ্যমে সামনে আসেন এই দুই ভাই বোন। এসময় নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় উদ্ভাবক মিজানকে ভূয়সী প্রশংসা করে সামনে দিকে আরো এগিয়ে যাওয়ার জন্য দিক নির্দেশনা দেন। পাশাপাশি মোনছোপ আলী এবং নবীসনকে জরুরি ভাবে সকল সুবিধা পাইয়ে দিতে আশা ব্যক্ত করেন।
উদ্ভাবক মিজান বলেন, মোনছোপ আলী এবং তার বোন নবীসন খাতুনকে সামনে এনে আমি জীবনের সেরাটা পেয়েছি। তাদেরকে আজ সব কিছু পাইয়ে দিতে পেরে অনেক আনন্দিত আমি। নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় যে উদারতা দেখিয়েছে তিনার সার্নিদ্ধে আসতে পেরে আমরা সকলি গর্বীত।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন তরুণ সমাজসেবক ও সাংবাদিক জিল্লুর রহমান এবং সাংবাদিক হাসানুল কবীর সহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।