ফয়সাল আজম অপু, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত্যু জনিত কারণে স্থগিত হওয়া নির্বাচন হতে যাচ্ছে আগামী ৩১ মার্চ। এ নির্বাচনকে ঘিরেই আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে নির্বাচনী এলাকার মরদানা গ্রাম নামে সন্ত্রাসের জনপদ। গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৭০টি ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। এর মধ্যে মঙ্গলবার দিবাগত রাতেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে ২৪ টি ককটেল। এতে কোন হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও আতঙ্ক বিরাজ করছে বিচ্ছিন্ন ওই গ্রামটিতে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রায় ৩০ জন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সাধারণ কাউন্সিলর পদে উটপাখি প্রতিকের প্রার্থী গোলাম আজম অভিযোগ করে বলেন, একাধিক মামলা মাথায় নিয়ে দীর্ঘদিন পলাতক ছিল বর্তমান কাউন্সিলর খাইরুল আলম জেম। মঙ্গলবার জেম তার নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে শোডাউন দিতে দিতে এলাকায় ঢুকে এবং একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অপরদিকে, প্রতিপক্ষ পানির বোতলের প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর খাইরুল আলম জেম অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমার সমর্থকরা এলাকায় প্রবেশ করলে উটপাখি প্রতীকের প্রার্থী গোলাম আজমের লোকজন অতর্কিতভাবে ককটেল বিস্ফোরণ করে জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। আমি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে মর্দানা গিয়েছিলাম। আমার কোন সমর্থক ককটেল ফাটাইনি।
তিনি সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন। কয়েকজন সাধারণ ভোটার নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান, বিগত ৬ বছর ধরে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চলে আসছে মর্দানা গ্রামে। এ সময় সহিংসতায় অন্তত ৬ জন নিহত ও শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। অসংখ্য বাড়ি ঘরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে। সেখানে বসবাসরত সাধরণ মানুষ সন্ত্রাসীদের ভয়ে মুখ খোলার সাহস পাইনা। মুখ খুললেই নেমে আসে ভয়াবহ নির্যাতন। শিকার হতে হয় মামলা ও হয়রানীতে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিবগঞ্জ থানার ওসি ফরিদ হোসেন জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেখানে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বোমাবাজির ঘটনায় এখন (বুধবার দুপুর) পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি। কাউকে আটক করা যায়নি।