বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ০৯:২৬ অপরাহ্ন
রাজশাহী ব্যুরোঃ
রাজশাহীতে স্ত্রীর সাথে তালাক হওয়ার পর যৌতুক, শারীরিক নির্যাতনসহ একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার।
গত মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান ভুক্তভোগী মজনু আহমেদ সাগর।
রাজশাহী উপশহরের বাসিন্দা মো মজনু আহমেদ সাগরের সাথে মোসা মাহবুবা খাতুন নীলার বিয়ে হয়। তাদের একটি ১৩ বছরের পুএ সন্তান আছে। গত ১০ মে ২০২৪ তারিখে মজনু জেলে থাকা অবস্থায় নীলা না জানিয়ে তাকে ডিভোর্স দেয়।
স্মজনু আহমেদ বলেন, ২০২৩ সালে আমার স্ত্রী আমার গাড়িতে মাদক ও অস্ত্র রেখে আমাকে র্যাব দিয়ে ধরিয়ে দেয় । এটি আমার জীবনের সবচেয়ে লজ্জাজনক ঘটনা। আমি শিক্ষকতা করি। আমার একটা সম্মান আছে কিন্তু এই অপবাদ আমি সইতে পারিনি। এসবের কারণে লজ্জায় আমি সমাজে বের হতে পারিনি। আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলাম কিন্তু একটি বাচ্চা থাকার কারণে আমি সেই জায়গা থেকে ফিরে আসি।
আমি গত ২ আগষ্ট ২০২৪ সালে আমার স্ত্রীকে ডিভোর্স দিই। কিন্তু পরে আমি দেখতে পাই সে আমাকে ১০ মে ২০২৪ ডিভোর্স দিয়েছে। তখন আমি জেলে ছিলাম। ডিভোর্স দেওয়ার পর ১৮ মে ২০২৪ সে আমাকে এবং আমার ভাইয়ের নামে শারীরিকভাবে নির্যাতনের মামলা দেয়। আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন ১০ মে ডিভোর্স দিলে ১৮ মে কিভাবে নির্যাতন করি!
এই ঘটনার দুইদিন পর ২০ মে সে আমার নামে যৌতুক মামলা দেয়। একই তারিখে সাবেক স্ত্রীর বাবা আমার নামে ৪০ লক্ষ টাকার প্রতারণা মামলা করে।
শুধু এগুলো নয় আমি জেলে থাকা অবস্থায় ১ লক্ষ টাকার একটি চেকে আমার স্বাক্ষর জাল করে চেক ডিজোনার করে আমার একটি মামলা দায়ের করে।
তিনি আরো বলেন, আমি জেলে থাকা অবস্থায় আমার একটি ভাড়া নেওয়া একটি বাড়িতে আমার প্রতিষ্ঠানের বেঞ্চ-বোর্ডসহ সকল জিনিস বুঝিয়ে নিয়ে স্বাক্ষর করে সকল মালামাল বিক্রি করে দেয়। আমাকে বলে মালামাল আছে কিন্তু এখনো আমি বুঝিয়ে পাইনি। সেগুলো তিনি বিক্রয় করে দেন এর যথেষ্ট প্রমাণ আমার কাছে আছে।
তিনি বলেন, আমি জেলে থাকা অবস্থায় বাটার মোড়ে আমার শেয়ারের একটি কোচিং সেন্টার থেকে ১০ লক্ষ টাকা উত্তোলন করেছেন যার প্রমাণ আছে।
আমার বাসা তে তিনি অবস্থান করেন এই বাসার উপর একটি ব্যাংক থেকে লোন নেওয়া আছে আমার। রাসিকের হোল্ডিং ট্যাক্স, কাগজ সবই আছে। এরপরেও তিনি বলেন তিনি নাকি আইনের বলে এখানে আছে। গত শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) আমি আমার বাসা বুঝিয়ে নিতে গেলে তারা সুন্দরভাবে বাসা বুঝিয়ে দিয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে জানা গেছে আমি নাকি আমার প্রাক্তন স্ত্রীর পা ভেঙে দিয়েছি।
মজনু আহমেদ বলেন, খবরে নারী নির্যাতনের ঘটনা আসলেও পুরুষ নির্যাতনের খবর আসে না। সেটি অন্ধকারে থেকে যায়।
পরিশেষে মজনু বলেন, আমি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমার সাথে যেসব অন্যায় হয়েছে সেগুলো জানিয়ে দিতে চাই এবং আমি এর বিচার চাই।