বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ০৫:১৩ অপরাহ্ন
বিবিএস নিউজ ডেস্কঃ যশোরের শার্শায় খাদ্যবান্ধব(ওএমএস) কর্মসুচীর আওতার ১৫৫ বস্তা চাল লুটের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস ও তার ভাই ইবাদুল ইসলাম কালুর রিরুদ্ধে।
বুধবার সকালে এ অভিযোগ করেন কায়বা ১.২ ও ৩ নং ওয়ার্ড এর খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চালের ডিলার শাহাজহান কবিরও তার সহযোগী।
ডিলার শাহাজান কবির সাংবাদিকদের জানান,তিনি বুধবার সকালে বাগআঁচড়া খাদ্য গুদাম থেকে চাল লোড করে কয়েকটি ট্রলি নিজের ডিলার পয়েন্টে উদ্দেশ্য ছেড়ে দেন। পথিমধ্যে বাগআঁচড়া বকুল তলা পৌঁছালে শার্শা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রহুল কুদ্দুসের নেতৃত্বে তার ভাই ইবাদুল ইসলাম কালু ট্রলি দাঁড় করিয়ে ড্রাইভারকে জিম্মি করে ১৫৫ বস্তা চাল নিজের গোডাউনে নামিয়ে নেন।পরে তিনি কেন চাল নামিয়ে নিলেন সে বিষয়ে কুদ্দুস কে ফোন দিয়ে জানতে চাইলে তাকে গালাগাল করেন এবং হুমকি দেন।
পরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,১৫৫ বস্তা চাউল নামিয়ে নেওয়ার পরেও বকুলতলা কুদ্দুস চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে তার ভাই কালু ৪ টি চাল বোঝায় ট্রলি আটকিয়ে রেখেছে। পরে সাংবাদিকদের উপস্থিত টের পেয়ে তিনি ড্রাইভারদের ট্রলি নিয়ে চলে যেতে বলেন। চাউলের টলি বক্তব্য অনুযায়ী তাকে দাঁড় করিয়ে চাউল নামাতে বলেন। আপনারা একটু দেরি করলেই সব চাউল নামিয়ে নিতো।
কেনো চাল বোঝায় ট্রলি আটকিয়ে রেখেছেন জানতে চাইলে কালু জানান,তিনি ডিলারের কাছে টাকা পাবেন তাই আটকিয়ে ছিলেন।
অভিযুক্ত রুহুল কুদ্দুস অভিযোগ অস্বীকার করে জানান,আমি কিন্তু সাংবাদিক ও কোন গুনিনা।
আমার বিরুদ্ধে আত্মসাৎ/লুটের এর অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।আমি কোন চাল লুট করিনি। আমার ভাই ডিলারের কাছে টাকা পাবে বলে ট্রলি আটকায়ে রাখছিলো পরে ছেড়ে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান জানান,তিনি বিষয়টি শুনেছেন। ওসি সাহেবকে তিনি চালগুলো উদ্ধার করার জন্য ইতিমধ্যে বলে দিয়েছেন।