বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩১ অপরাহ্ন
৫৯ কোটি টাকা রাজস্ব লোকসান দিয়ে পেঁয়াজের ওপর আরোপিত ৫ শতাংশ আমদানি শুল্কও প্রত্যাহার হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে আমদানি শুল্ক হার নেমে আসবে শূন্যের কোঠায়। অর্থাৎ দেশে শুল্কমুক্ত পেঁয়াজ আমদানির সুযোগ তৈরি হচ্ছে। বাজারে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা কমিয়ে এনে ভোক্তাকে স্বস্তি দিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। যা প্রজ্ঞাপন আকারে শিগগির জারি করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এটি প্রক্রিয়াধীন আছে বলে নিশ্চিত করেছে এনবিআর সংশ্লিষ্ট সূত্র।
বর্তমানে পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক অবশিষ্ট আছে। গত বৃহস্পতিবার পেঁয়াজের ওপর থেকে এই ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমানোর সুপারিশ করে এনবিআরের কাছে প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। যা পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে দফায় দফায় রাজস্ব প্রত্যাহার করেও বাগে আনতে পারছে না নিত্যপণ্যের বাজার। সর্বশেষ মূল্য কমাতে চালের ওপর দুদফায় ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে শূন্য শতাংশ করা হয়। এছাড়া চিনির ওপর ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ এবং ভোজ্যতেল ১০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। গত সেপ্টেম্বরে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ প্রত্যাহার করা হয়েছিল পেঁয়াজের ক্ষেত্রেও। এখন বাকিটাও তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
কিন্তু একাধিক পণ্যের ওপর যে লক্ষ্যে শুল্ক হ্রাস ও প্রত্যাহার করা হচ্ছে বাস্তবে সুফল মিলছে না। কোনো ক্ষেত্রে আগের তুলনায় দাম আরও বেড়েছে। বিশেষ করে পাম অয়েলের ক্ষেত্রে সেটি ঘটেছে।